ধরো, তুমি রাইবোসোম সম্পর্কে পড়ছো। পড়তে গিয়ে দেখলে যে ৫০S এবং ৩০S রাইবোসোম একত্রিত হয়ে ৭০S নামক রাইবোসোম তৈরি করেছে। তুমি ভাবলে, এ তো ৮০S রাইবোসোম তৈরি করার কথা। এটি নিয়ে যখন শিক্ষককে জিজ্ঞেস করতে গেলে তিনি সেটার উত্তর দিতে পারলেন না।
ধরো, তুমি জিনতত্ত্ব নিয়ে পড়ছো। কিন্তু এটাই জানো না যে হ্যাপ্লয়েড এবং ডিপ্লয়েডের মধ্যে পার্থক্য কী। কিংবা কখনো ভেবে দেখো নি যে প্ল্যাটিহেলমেনথিসের দেহ কেন চ্যাপ্টা হয়ে থাকে, অথবা লোহিত রক্তকণিকায় কেন নিউক্লিয়াস বা মাইটোকন্ড্রিয়া নেই।
অথবা কখনো ভাবো নি Hydra vulgaris এর নামে vulgaris বলতে কী বুঝাচ্ছে। কিংবা উদ্ভিদবিজ্ঞান বইয়ে DNA প্রতিলিপন পড়তে গিয়ে শিক্ষক বা বন্ধুর সাহায্য নিতেই হচ্ছে তোমাকে। নিজে থেকে বুঝতে পারছো না।
ঠিক এই বিষয়গুলোকে চ্যালেঞ্জ করে আমাদের কনসেপ্ট বইগুলো লেখা হয়েছে।
আমরা বইগুলোকে এমনভাবে সাজিয়েছি যেন তোমাদের কৌতূহলের উত্তর আমাদের বই দিতে পারে। যেমনঃ আমরা বইয়ের টেক্সটে হ্যাপ্লয়েড এবং ডিপ্লয়েড উল্লেখ করেছি। এরপর সেই টেক্সটের পরপরই ‘বুঝে নাও’ অংশে উদাহরণের সাহায্যে হ্যাপ্লয়েড এবং ডিপ্লয়েড বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। একই কাজ করা হয়েছে ৭০S রাইবোসোম কীভাবে ৫০S এবং ৩০S থেকে তৈরি হয় তা বুঝানোর জন্য।
তোমরা প্রায়ই বলে থাকো যে জীববিজ্ঞানে বোঝার কিছু নেই, বরং এটির বেশিরভাগই মুখস্থের। ঠিক এই বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে আমরা শত শত ‘Food for Thought’ যুক্ত করেছি যা যেমন তোমাদের জীববিজ্ঞান নিয়ে ভাবাবে, তেমনি জীববিজ্ঞানকে পাবা একটি মজার এবং বোঝার বিষয় হিসেবে।
সময় করে উদ্ভিদবিজ্ঞান বইয়ের অধ্যায় ৫ (শৈবাল ও ছত্রাক) খুলে দেখো। শৈবালের বিচিত্রতা নামক অংশে অনেক শৈবালের নাম বলা হয়েছে এবং দেখানো হয়েছে যে এরা গঠনগতভাবে প্রচুর বৈচিত্র্যসম্পন্ন। অথচ সেসব শৈবালের কোনোটিরই ছবি দেয়া হয় নি।
ভেবে দেখো, যদি শৈবালগুলোর ছবি সাথে সাথে যুক্ত করা হতো এবং তুমি পড়তে গিয়েই দেখতে পেতে যে এদের গঠনে বিচিত্রতা আছে, তাহলে কতই না মজার হতো। এমনকি তুমি বুঝে বুঝেও পড়তে পারতে।
আমরা এ বিষয়গুলোকে সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য শত শত রঙ্গিন ছবি আমাদের বইয়ে ব্যবহার করেছি। ফলে তোমরা জীববিজ্ঞানকে বাস্তবিক ছবির সাথে মিলিয়ে নিয়ে পড়তে ও বুঝতে পারবে।
প্রাণিবিজ্ঞান বইয়ে অধ্যায় ১১-তে বিবর্তন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা আছে। বাজারের বেশিরভাগ প্রচলিত বইয়ে বিবর্তনকে চারটি ধাপ দিয়ে দেখানো, অথচ এখানে কোনো উদাহরণই ব্যবহার করা হয় নি।
ভেবে দেখো, কেমন হয় যদি এই ধাপগুলোর পাশাপাশি আমরা নানা উদাহরণ টানি। উদাহরণের মাধ্যমে বুঝি কীভাবে ধাপে ধাপে বিবর্তন হচ্ছে…
এভাবে জীববিজ্ঞানের জটিল সব কনসেপ্ট ক্লিয়ারলি বুঝানোর জন্য আমরা আমাদের কনসেপ্ট বইয়ে নানা বাস্তবিক উদাহরণ ব্যবহার করেছি। এসব উদাহরণ তোমাদেরকে জীববিজ্ঞানকে ‘Real Life Examples’ এর সাথে তুলনা করে বুঝতে সাহায্য করবে।
সম্রাট ভাইয়াকে আমি কয়েক বছর আগে থেকেই চিনি। নিজে তার কাছে ক্লাস করেছি এবং একটি সময় গিয়ে তার প্ল্যান্টি বইটা আমি কিনি। সত্যি বলতে, উদ্ভিদবিজ্ঞানে যে ভীতি ছিল, তা এই বই পড়েই আমার দূর হয়েছিল। কিছু জটিল টপিক (যেমনঃ ডিএনএ প্রতিলিপন) যা আমি কলেজের কোনো শিক্ষকের থেকে শিখতে পারি নি, তা এ বই নিজে পড়ে শিখেছি।
প্ল্যান্টি এবং জ্যুওলজিয়া – এই বই দুটি আমার কাছে সবচেয়ে ব্যতিক্রমধর্মী মনে হয়েছে। আমি জীববিজ্ঞানের বাজারে প্রচলিত বেশ কয়েকটি বই কেনার পরেও যখন জীববিজ্ঞান নিয়ে হতাশ হচ্ছিলাম, সেসময় ফেসবুকে এড দেখে এ বই দুটি কিনি।
আলহামদুলিল্লাহ, অনেক উপকৃত হয়েছি। আমার পরামর্শ থাকবে যে বই দুটি যেন লাইব্রেরিতে ছাড়া হয়।
বই দুটিকে আমি বাংলাদেশের জীববিজ্ঞান চর্চায় রিভল্যুশন বলতে চাই। আমরা জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড নিয়ে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি যে বাংলাদেশে জীববিজ্ঞান চর্চায় এ দৈন্যদশার কারণটা কী। আমার মনে হয়, আবুলাইচ সম্রাট সেই জায়গাটিতেই কুঠারাঘাত করেছেন এবং এ বই দুটি শিক্ষার্থীদের উপহার দিয়েছেন।
বই দুটি সংগ্রহ করতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন।
উল্লেখ্য, বই হাতে পেয়ে আপনি পেমেন্ট করবেন।